বিজ্ঞাপন

শিরোনাম

6/recent/ticker-posts-pabnatimes

পাবনার ৫টি আসনে নৌকার মাঝি হচ্ছেন যারা


বিশেষ প্রতিবেদকঃ
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পাবনা জেলার পাঁচটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ।

দলের একাধিক সুত্রের মাধ্যমে জানা গেছে, আ.লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছয়টি মাঠ পর্যায়ের জরিপের ভিত্তিতে একটি তালিকা তৈরি করেছেন। তালিকাতে প্রতিটি প্রার্থীর অতীত আন্দোলন এবং তৃণমূলের জনপ্রিয়তার উপর বেশি প্রধান্য দেওয়া হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ জরিপে উঠে এসেছে চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম। এসকল প্রার্থীরাই হচ্ছেন আগামী নির্বাচনে নৌকার মাঝি। 

পাবনার আসনগুলোতে চুড়ান্ত প্রার্থী হচ্ছেন যারা ঃ
পাবনা-১ : অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ।
পাবনা-৩ : মকবুল হোসেন ।
পাবনা-৪ : পাঞ্জাব বিশ্বাস।
পাবনা-৫ : গোলাম ফারুক প্রিন্স। 

তবে পাবনা ২ আসনের জন্য দুটি নাম রয়েছে আওয়ামীলীগে।আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড.মির্জা আব্দুল জলিল ও বর্তমান এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজুর নাম। মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টি আসনটিতে জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি ও পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মকবুল হোসেন সন্টুর জন্য চেয়েছেন। তাই এই আসন নিয়ে এখনো চলছে নিরব পর্যবেক্ষন।

চূড়ান্ত প্রার্থীদের ইতোমধ্যে নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে কাজ করা নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পাবনা-১ আসনে বর্তমান সাংসদ সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু নানা অনিয়মের কারনে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। এই আসনে আওয়ামীলীগের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে মৃত্যু দ্বন্ডে দ্বন্ডিত জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী পুত্র ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। অন্যদিকে তৃনমূলে এই আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছেন বঙ্গববন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর সাবেক তথ্যপ্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড.আবু সাইয়িদ। এবার তিনিই হচ্ছেন পাবনা-১ আসনের নৌকার মাঝি।

পাবনা-৪ আসনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী বিশিষ্ট কবি ও লেখক সাবেক এমপি পাঞ্জাব বিশ্বাস গণসংযোগ শুরু করেছেন। তিনি ইতিমধ্যেই ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে কেন্দ্র ও তার নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক অালোড়ন তুলতে সক্ষম হয়েছেন। এই অাসনের বর্তমান এমপি ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ ডিলু ও তার পরিবারের নানা দূর্নীতি, বিতর্কিত কর্মকান্ড ও অনিয়মের কারনে তিনি জনমত শুন্য হয়ে পড়েছেন। স্বজনপ্রীতি ও দলীয় সৃংখলা ভঙ্গের দায়ে স্বয়ং দলীয় সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিমন্ত্রীর প্রতি ছিলেন চরম নাখোশ। এই আসনে আওয়ামীলীগের প্রতিপক্ষ বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন কেন্দ্রীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান হাবিব। 

দলের হাইকমান্ডের একাধিক নেতা সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্র থেকে চুড়ান্ত প্রার্থিদের এলাকায় কাজ করার জন্য সবুজ সংকেত প্রদান করা হয়েছে। প্রতিটি অাসনের চুড়ান্ত প্রার্থিরা কমিটি গঠন, উঠান বৈঠক ও জনসংযোগের মাধ্যমে তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণার কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছেন।

Facebook

Post a Comment

0 Comments