বিজ্ঞাপন

শিরোনাম

6/recent/ticker-posts-pabnatimes

আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ইউনিট, জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া



ইব্রাহীম খলীল, আটঘরিয়া প্রতিনিধিঃ    
আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গোটা পাবনা জেলার আইসোলেশন কেন্দ্র করতে নারাজ এলাকাবাসী। 

৫০ শয্যা বিশিষ্ট আটঘরিয়া  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কাগজ কলমে থাকলেও ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হিসেবে চলছে। ১৬ই এপ্রিল তারিখে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে উঠে আসে গোটা পাবনা জেলা করোনা রোগীদের আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র করার কথা।

এর পর থেকেই পক্ষে বিপক্ষে নানান জনের নানান মন্তব্য করতে দেখা যায়। কেউ বলছেন করোনা আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টাইন ইউনিট করার জন্য যে দক্ষ জনবল ও চিকিৎসাসামগ্রী প্রয়োজন তা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই। আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স জনবহুল এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করেছেন কেউ কেই।  আবার কেউ বলছেন আটঘরিয়ায় করোনা ইউনিট হলে মহামারী করোনার চিকিৎসা সহজলভ্য হবে।  

উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মকবুল হোসেন বলেন, আইসোলেশন কেন্দ্র করতে হলে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ব্যবস্থা থাকতে হবে। কিন্তু এখানে তিনটা অক্সিজেনের মধ্যে একটা ওয়ার্ডে, একটা ইমাজেন্সিতে ও অন্যটি অ্যাম্বুলেন্সে ব্যবহার করা হয়। 

এছাড়াও আইসোলেশন কেন্দ্র করতে হলে এখানে আইসিইউ এর ব্যবস্থা এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞ  থাকতে হবে। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর কোনটাই নেই। এখানে জনবল আসন সংখ্যাও কম। ৬ জন ওয়ার্ড বয়ের জায়গায় একজন কে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে চালানো হচ্ছে। এসিএমও ৬ জনের জায়গায় ৪ জন। 

এছাড়াও মেডিকেল অফিসার ২২জনের জায়গায় ৬ জন বহাল আছে। অর্ধেকের বেশি চিকিৎসক ও অর্ধেক কর্মচারীর পদ শুন্য। ফলে চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত  হচ্ছে।  

দূর দুরান্ত থেকে শতশত রোগী এখানকার বহিবির্ভাগে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। কিন্তু চিকিৎসক স্বল্পতার কারণে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। 

৩১ শয্যা আটঘরিয়া  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে প্রায় ৫ বছর পূর্বে। দৃষ্টিনন্দন ভবন তৈরী  হলেও চিকিৎসা মানের উন্নতি ঘটেনি।

Post a Comment

0 Comments