ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ
ঈদ প্রতিটি মানুষের জীবনে আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে কিন্তু ঈদের আনন্দ সারা জীবনের জন্য এক বিভীষিকায় পরিণত হলো শিশু আহাদের জীবনে। প্রতিটি বছর আহাদের জীবনে ঈদ আসবে স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে।
সড়ক দুর্ঘটনায় শুক্রবার (৭জুন) মা মারিয়া কে হারানোর পর গুরুতর আহত বাবা ওয়াহেদ আলী চলে যান না ফেরার দেশে।
গতকাল শনিবার (৮জুন) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিশুটির বাবা ওয়াহেদ আলী। সড়ক দুর্ঘটনায় মা-বাবা দু'জনকেই হারিয়ে এখন এতিম শিশু আহাদ।
গত শুক্রবার দুপুর একটার দিকে স্ত্রী মারিয়া ও একমাত্র শিশু সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঈশ্বরদী উপজেলার মিরকামারী থেকে সলিমপুর গ্রামে শশুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন ওয়াহেদ আলী।
পথে দাশুড়িয়া-পাকশী মহাসড়কের জয়নগর এলাকায় তামান্না ফিলিং স্টেশনের সম্মুখে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফিলিং স্টেশন থেকে তেল নেওয়ার জন্য রাস্তা পার হওয়ার সময় অন্য দুটি মোটরসাইকেল দ্রুত বেগে এসে তাদের ধাক্কা দিলে তিনজনকে পড়ে যায়। এসময় দ্রুতবেগে আসা পাকশীগামী একটি মাইক্রোবাস চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন শিশু আহাদের মা মারিয়া।
দুর্ঘটনায় আহত শিশুটির পিতা ওয়াহেদ আলি এবং শিশু আহাদকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়।
পরে ওয়াহেদ আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
পাকশী হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ রাজিবুল আলম জানান, মাইক্রোবাস আটক করতে না পারলেও মোটরসাইকেল আরোহী শাকিল (২০) এবং সোহেলকে (২২) কে আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন জানান, বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত ঈশ্বরদী থানার ওসি জানান এখনো পর্যন্ত হাসপাতালে অসুস্থ হলে তাকে উপযুক্ত অভিভাবকের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
0 Comments