বিজ্ঞাপন

শিরোনাম

6/recent/ticker-posts-pabnatimes

ঈশ্বরদীতে মাদ্রাসা ছাত্রকে রাতভর থানায় আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ


ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ 
ঈশ্বরদীতে মুসাদ্দিকুর রহমান মনি (১৫) নামের এক মাদ্রাসা ছাত্রকে রাতভর থানায় আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে থানার দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 


আহত আহত মনি শহরের আলোবাগ এলাকার মন্ডল এর গলির কাজী মোস্তাফিজুর রহমান ফরহাদ এর ছেলে এবং ঈশ্বরদী ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ছাত্র।


তবে এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তেমন কিছু নয় বলে দাবি করা হয়। 


আজ শুক্রবার (৩মে) দুপুরে ওই মাদ্রাসা ছাত্রের বাবা কাজী মোস্তাফিজুর রহমান ফরহাদ সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন গত ২৮ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে পোস্ট অফিস মোড়ে একটি দোকান থেকে কয়েল ও চকলেট কিনতে যায় তার ছেলে মনি । 


এ সময় ঈশ্বরদী থানার এসআই মোহাম্মদ আলী ও এ এস আই রায়হান তাকে এত রাতে বাইরে কেন তুই কি করিস বলে চড় থাপ্পড় মেরে থানায় নিয়ে আটকে রাখে পরবর্তীতে পরিবারের কাছে খবর গেলে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার শর্ত দেয়া হয় ছেলের বিনা অপরাধে তাকে ছাড়ানোর জন্য এত টাকা দিতে অস্বীকার করায় রাতভর ওই ছাত্রকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করায় সেখানেই প্রস্রাব করে ফেলে মনি।


কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান কাজী মোস্তাফিজুর রহমান আরও জানান রাতভর নিকটাত্মীয় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পরদিন সকালে আহত অবস্থায় মনি কে ছেড়ে দেয় পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে তাকে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সেখানে তার অবস্থার কোন উন্নতি না হলে বৃহস্পতিবার রাতেই তাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


সেখানে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মাদ্রাসা ছাত্র মনির বুকের হাড়ে স্পর্ট ধরা পড়েছে এবং তার ডান পায়ের হাড় ফেটে যাওয়া সহ বিভিন্ন স্থানে জখম হয়েছে বর্তমানে সেখানেই গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি আছে মনির বাবা কাজী মোস্তাফিজুর রহমান তার সন্তানের উপর পুলিশি নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি জানান।


অভিযুক্ত এএসআই রায়হান হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানান, তবে এসআই মোহাম্মদ আলী বলেন গভীর রাতে ওই ছেলেকে রাস্তায় পেয়ে থানায় রাখা হয়েছিল টাকা কিংবা মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

Post a Comment

0 Comments