বিজ্ঞাপন

শিরোনাম

6/recent/ticker-posts-pabnatimes

ঈশ্বরদীতে কর্মসৃজন প্রকল্পে হরিলুটের মহোৎসব


ঈশ্বরদী প্রতিনিধিঃ
ঈশ্বরদীর রূপপুর প্রকল্পের গ্রীন সিটির বালিশ কেলেঙ্কারির পর এবার অতি দরিদ্রের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচীর (কর্মসৃজন) প্রকল্পের বরাদ্দের টাকা হরিলুটের উৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুয়া শ্রমিকের তালিকা করে প্রতিদিন প্রায় লাখ টাকা লোপাট করা হচ্ছে ঈশ্বরদী ৭ টি ইউনিয়নে। কর্মপরিকল্পনায় উল্লেখিত প্রকল্পে কাজ না করে ভুয়া নামের তালিকা বানিয়ে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় অর্থ ভাগবাটোয়ারা করা হচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, ট্যাগ অফিসার, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও প্রকল্প দেখভালকারী কর্মকর্তার মাঝে। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সরকার এই প্রকল্প চালু করেছে কার্যত তা ভেস্তে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।

একটি সূত্র জানায়, চলতি বছরে ঈশ্বরদীতে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (কর্মসৃজন) প্রকল্পে ৪০ দিনের জন্য মোট ১ কোটি ৩৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে।

সেই বরাদ্দ উপজেলা ৭টি ইউনিয়ন এর ৫টি করে প্রকল্প ভাগ করে দেয়া হয়।

সেই প্রকল্প অনুযায়ী পাকশী ইউনিয়নের ৫টি প্রকল্পে প্রতিদিন কাজ করার জন্য রাখা হয়েছে ১৯৮ জন শ্রমিক। যাদের দৈনিক হাজিরা ২০০ টাকা। সেখানে প্রতিদিন প্রকল্পে একজন করে সরদার থাকবে তার হাজিরা একটু বেশি। 

এরকম করে সারা ইউনিয়নের ৫টি প্রকল্পের জন্য ১৭৫ জন শ্রমিক, মুলাডুলিতে ২৭৭জন শ্রমিক,দাশুড়িয়া ২১৮ জন,সলিমপুরে ২৬৩ জন শ্রমিক ও লক্ষীকুন্ডায় ২৯২ জন শ্রমিক রয়েছে। 

কয়েকটি প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি প্রকল্পে কাজ করছে অর্ধেকেরও কম শ্রমিক বাকিদের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক জানান পিআইসিরারা তাদের কাছ থেকে আগেই সব সই স্বাক্ষর নিয়েছেন। তাছাড়া অনেকের নাম আছে অথচ কোনদিন প্রকল্প এলাকায় দেখা যায়নি।

কয়েকজন পিআইসি ও ইউপি সদস্য জানান, বর্তমানে একজন শ্রমিকের মজুরি ৪০০ টাকা সেখানে মাত্র ২০০  টাকায় কাজ করতে চায় না এজন্য তালিকায় অনেক গরমিল করতে হয়। 

এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ কাজটি সহজ হয় নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন সচিব জানান তাদের বরাদ্দের অংশ থেকে দিতে হবে লাখ টাকা ভুয়া তালিকা প্রসঙ্গে বলেন বেশির ভাগী ক্ষমতাসীন দলের লোকজনকে দিতে হয়।

এ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম বলেন আমি এ বিষয়ে কিছুই বলতে পারব না আপনারা (সাংবাদিকরা) পিআইও এর সাথে কথা বলেন। কাজ ঠিকভাবে দেয়া হচ্ছে কি না এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।

জানা গেছে পাবনা সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল করিম অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে উপজেলা দায়িত্ব পালন করছেন তিনি সঠিকভাবে সময় নিয়ে দায়িত্ব পালন না করার জন্য আমি ওকে বলে মন্তব্য করেন অনেকে।

গত রবিবার ঈশ্বরদী উপজেলার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী আব্দুল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ৪০ দিনের মধ্যে ২১ দিন কাজ হয়েছে। এর মধ্যে কিছু প্রকল্পে অভিযোগ থাকায় ৩/৩ ইউনিয়নে কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে।বাকিদের টাকা দেয়া বন্ধ রয়েছে।

তিনি আরোও বলেন, বর্তমান সময়ে ৪/৫ শত টাকার কমে আর শ্রমিক পাওয়া যায় না, তাই ২০০ টাকার বিনিময়ে কেউ কাজ করতে আসতে চায় না। যারা আসে কিছু সময় কাজ করে চলে যায়


Post a Comment

0 Comments