ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এনালগ ওডিজিটাল দুটি এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
এ কারণে রোগীদের বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে এক্স-রে করাতে হচ্ছে।
এ নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে উপজেলার দরিদ্র রোগীরা। আর এ সুযোগেই ফায়দা লুটছে স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিকরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের ১৪ অক্টোবর সিমেন্স কম্পানির একটি এনালগ এক্স-রে মেশিন সরবরাহ করা হয়। সরবরাহের পরের মাস থেকেই এটি চালু করা হয়। এরপর ২০০৩ সালের ১৯ মে এক্স-রে মেশিনটি বিকল হয়ে যায়।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ওই সময় লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর মেশিনটি মেরামতের জন্য পর পর তিন বছর উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু মেশিনের পজিশন লাইট, শোলাইট, পাওয়ার সাপ্লাইসহ গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ নষ্ট হওয়ায় প্রকৌশলীরা এটি আর সচল করতে পারেননি।
এরপর থেকে দীর্ঘ ১৩ বছর এক্স-রে সেবা থেকে বঞ্চিত থাকে রোগীরা।
পরে ২০১৫ সালে ২৪ নভেম্বর চীনা কম্পানির আরেকটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন বরাদ্দ পায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি।
পরের বছর ৫ মে মেশিনটি চালু করা হয়। কিন্তু এটিও এক বছর ব্যবহারের পরই নষ্ট হয়ে যায়।
পরবর্তী সময়ে কোম্পানির প্রকৌশলীরা মেশিনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সচল করা সম্ভব নয় বলে কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন।
স্থানীয়রা জানান, এক্স-রে মেশিন নষ্ট থাকায় বেশি সমস্যায় পড়েছে গরিব রোগীরা। তাদের বাইরের ল্যাব থেকে ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা দিয়ে এ সেবা পেতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা খানম জানান, সর্বশেষ বিকল হওয়ার পরে নতুন এক্স-রে মেশিনটি ঢাকা থেকে লোক এনে মেরামতের চেষ্টা করা হয়েছে। এর পরেও তা আর সচল করা সম্ভব হয়নি।
তথ্যসুত্রঃ কালের কন্ঠ।
0 Comments