বিজ্ঞাপন

শিরোনাম

6/recent/ticker-posts-pabnatimes

নৌকার মাঝি প্রিন্সের হ্যাট্রিক, মন্ত্রীত্বের দাবীদার পাবনা-৫ আসন


।।এস এম মনিরুল ইসলাম মনি।।

স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত পাবনার মাটি। এই মাটির অনেক বীর সন্তান মুক্তির সংগ্রামে বিলিয়েছেন প্রাণ। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রক্তে ভেজা পাবনার মাটিতে সংসদ নির্বাচনে বেশীর ভাগ সময়েই জয় লাভ করেছে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির প্রার্থী। এ যেন পাবনার স্বাধীনতার চেতনাধারীদের কাছে ছিলো এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। 

এই আসনেই বার বার নির্বাচিত হয়েছেন যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুস সুবাহান। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে তরুন, উদিয়মান যুবক তাৎকালীন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুুক্তিযোদ্ধা সন্তান গোলাম ফারুক প্রিন্সকে মনোনয়ন দেয়া হয়। সেই নির্বাচনে তরুন যুবক প্রিন্স সবাইকে চমকে দিয়ে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পাবনা-৫ আসনকে রাজাকারের আসনের কলঙ্ক থেকে মুক্ত করেন। 

নিজের সততা,মেধা ও পরিশ্রম দিয়ে খুব অল্পদিনেই পাবনা-৫ আসনকে বদলে দিলেন উন্নয়নের ছোয়ায়। ঘুষ, দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি থেকে নিজেকে বিরত রেখে তার জনপ্রিয়তাকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য মাত্রায়। খুব অল্পদিনেই এই তরুন যুবক পাবনার জেলার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয় নিজের সততা ও মেধার মাধ্যমে। 

এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা গোলাম ফারুক প্রিন্স কে তার সততার পুরস্কার স্বরুপ আবারো মনোনয়ন দেন। সেই নির্বাচনে জামায়াত বিএনপি জোট নির্বাচন বর্জন করায় গোলাম ফারুক প্রিন্স বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়। তার সাংগঠনিক দক্ষতায় পাবনা আওয়ামীলীগের একটি শক্তিশালী দুর্জয় দূর্গে পরিনত হয়। 

এরপর ২০১৬ সালে জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিলে তাকে জেলার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। পাবনায় উন্নয়নের পাশাপাশি তিনি শান্তি প্রাতিষ্ঠার সুনাম অর্জন করেন। তার অক্লান্তিক প্রচেষ্ঠায় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ণাঙ্গ রুপ লাভ করে । পাবনা মেডিকেল কলেজ কে ৫০০ শয্যার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুপান্তরিত করেছেন। মাঝগ্রাম-ঢালারচর রেললাইন উল্লেখ যোগ্য উন্নয়ন। 

এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের অভূতপূর্ব উন্নয়নের মধ্য দিয়ে তরুন যুবক প্রিন্স অল্পদিনেই পাবনার গণমানুষের নেতায় পরিনত হয়েছেন। নির্বাচনী এলাকার রাস্তাঘাটি ব্রিজ কালভার্ট ইত্যাদি উন্নয়নের মাধ্যমে তিনি পাবনাকে বদলে দিয়েছেন। 

গতবছর ১৪ ই জুলাই পাবনা পুলিশ লাইন মাঠে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মঞ্চে রেখে লাখ লাখ পাবনাবাসী পাবনায় আশাতীত উন্নয়ন পেয়েছেন বলে স্বীকৃতি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। ১৪ ই জুলাইয়ের জনসভায় আবাল, বৃদ্ধ, মহিলা সব মিলিয়ে যে পরিমান মানুষ সমাবেত হয়েছিলেন পাবনায় ইতিপূর্বে কোন জনসভায় এত মানুষ সমবেত হয়নি। সেই জনসভাকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ স্মরণকালের বৃহৎ জনসভার স্বীকৃতি দেয়। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। আর এসব কেবল সম্ভব হয়েছিলো পাবনাকে বদলে দেয়া একজন যুবরাজ প্রিন্সের কারনেই।

এবারের আলোচিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারো ৩য় বারের মত গোলাম ফারুক প্রিন্সেই আস্থা রাখেন। জনগন এবারের নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার আস্থাকে এতটাই সন্মান দিয়েছেন যে ঐক্যফ্রন্ট সমর্থিত জামায়াতের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা ইকবাল হোসাইনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। গোলাম ফারুক প্রিন্স নৌকা প্রতীক নিয়ে তিন লক্ষাধিক ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। 

পাবনায় যে উন্নয়ন হয়েছে তাতে পাবনাবাসীর আর কিছু চাওয়ার নেই। জাতির জনকের কন্যার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমাদের পাবনা সদর-৫ আসনবাসীর একটাই দাবী স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পাবনা জেলার সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত পাবনা-৫ আসন কখনোই মন্ত্রীত্ব পায় নাই। রাজাকারের আসন হিসেবে চিহ্নিত এই আসনে নৌকার তিনবারের হ্যাট্রিক জয়ের পর পাবনাবাসীর এখন একটাই দাবী পাবনা-৫ আসনে একটি বিশেষ সন্মানজনক মন্ত্রী। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত পাবনাকে সন্মানিত করে আমাদের কাংখিত চাওয়া পূরণে সামান্যতম কার্পণ্য করবেন না।

লেখকঃ
সাবেক ছাত্রনেতা।


Post a Comment

0 Comments